জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইসরায়েলের প্রতি সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। বুধবার তিনি জার্মান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে এ তথ্য জানান, যা আনাদোলু এজেন্সি সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
শলৎস উল্লেখ করেন, হামাসের দায়িত্বে বর্তমানে চলমান সংঘাত। তিনি বলেন, "জার্মানি ইসরায়েলের সঙ্গে একাত্মতা রক্ষা করবে এবং তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা নিশ্চিত করতে আমরা অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখব।" তিনি আরও জানান, অতীতে যেমন অস্ত্র ও রণসজ্জা সরবরাহ করা হয়েছে, তেমনই ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত বছরের অক্টোবর থেকে তীব্র যুদ্ধ চলছে, যার ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজারেরও বেশি এবং আহত হয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে শলৎসের বক্তব্য ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দৃঢ় সমর্থনের প্রতীক।
জার্মানি দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের কট্টর মিত্র হিসেবে পরিচিত। দেশটির কর্মকর্তারা প্রায়ই বলেন, তারা নাৎসি অতীতের কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ দায়িত্ব অনুভব করেন। শলৎসের বক্তব্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি জার্মানির অঙ্গীকারের আরও একটি উদাহরণ ফুটে উঠেছে।
এই সমর্থন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে, কারণ সংঘাতের ফলে গাজার নাগরিকদের মাঝে ব্যাপক মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শলৎসের প্রতিশ্রুতি ইসরায়েলের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে, তবে এটি যুদ্ধাহতদের জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
শলৎসের এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, জার্মানি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, যদিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই সহায়তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।