রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেমদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষার সকল স্তরে "ইসলাম শিক্ষা" বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে 'ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার নির্মূল চাই, ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চাই', '৯৩% মুসলিমের দেশে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক চাই', 'পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ২ জন ইসলামিক স্কলার চাই'সহ নানা দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মূল কমিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগ থেকে ৪ জন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা এবং শরয়ী বিষয়াদি যাচাইয়ের জন্য ২ জন নির্ভরযোগ্য শিক্ষাবিদ নেওয়া।
২. মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া।
৩. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে ইসলাম শিক্ষা আবশ্যিক করা।
৪. সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজের বিশেষায়িত অনুষদ চালু করা।
৬. অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, "রাষ্ট্রের শিক্ষাকে আবার কবর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।"
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "বিগত ১৬ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামের নৈতিক শিক্ষার কোনো অবশিষ্টাংশ রাখা হয়নি। আমাদের প্রয়োজন একটি ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।"
এ মানববন্ধন থেকে স্পষ্ট হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ইসলামী শিক্ষার প্রচলন ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।