মেহেরপুরের হাসপাতালে নেই সাপে কাটার চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: বুধবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:৫০ অপরাহ্ন
মেহেরপুরের হাসপাতালে নেই সাপে কাটার চিকিৎসা

সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরে প্রতিনিয়ত সাপে কাটছে অসংখ্য মানুষকে। কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয় আবার অনেকেই ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে সাপের বিষ নামানোর চেষ্টা করে। চিকিৎসকেরা ঝাড়ফুঁক চিকিৎসা না করে হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিলেও মেহেরপুরের কোন হাসপাতালে নেই সাপে কাটার এন্টিভেনম ইনজেকশন। 


এন্টিভেনম প্রয়োগের ফলে সাপে কাটা রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। অনেকে কুসংস্কারের প্রভাবে পড়ে ওঝাদের কাছে ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা নিতে গিয়ে জীবন সংশয়ে পরেন, এমনকি প্রাণও হারাচ্ছেন। ফলে হাসপাতাল গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিভেনম থাকলে সাপে কাটা রোগীরা চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। কিন্তু মেহেরপুরের হাসপাতাল গুলোতে এন্টিভেনমের অভাবে অনেকে চিকিৎসা নিতে পারেন না।


মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে এবং গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দীর্ঘদিন ধরে এন্টিভেনম নেই। ফলে সাপে কাটা রোগীরা এন্টিভেনম না পেয়ে হতাশ হয়ে বাহিরের জেলায় ছুটে যায় এবং পথিমধ্যে অনেকেই মারা যাচ্ছে।


মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতালে এন্টিভেনম শেষ হয়েছে। চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সঙ্কট দূর হবে।


মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তৌফিক আহমেদ জানান, গত জুন মাসে এন্টিভেনম শেষ হয়েছে। জুলাই মাসে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।


গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার দবির উদ্দিন বলেন, ৬ মাস আগে এন্টিভেনম শেষ হয়েছে। তিন বার লিখিত চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে সিভিল সার্জন অফিসের মিটিংয়ে চাহিদার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এখনো পাওয়া যায়নি।


মেহেরপুর জেলার গ্রামঞ্চলে প্রতিদিন কোন না কোন জায়গায় সাপে কাটার ঘটনা ঘটছে। জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে সাপে কাটা রোগীদের ছুটতে হচ্ছে পাশের জেলা কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন হাসপাতালে। এ অবস্থায় দ্রুত মেহেরপুরের ৩টি হাসপাতালে এন্টিভেনম ইনজেকশন আনার দাবি সকলের।