শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমাদের মনে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ক্লাস কমাতে হবে, কমিয়ে দেব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গকৃত সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পাশের দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। আমাদের দেশে এ হার কম। তবে এরইমধ্যে কয়েকজনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তাই আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে মার্চ মাসে এদেশে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তাই মার্চ মাস না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা সংক্রমণ কম রাখতে পারব। এর আগে শনিবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকা ঘাটতি পূরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতির কারণে মার্চ পর্যন্ত পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে না। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম নিয়ে দীপু মনি বলেন, খুব শিগগিরই সারা দেশের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তারও আগে ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের (২০২২) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সব বিষয়ে হবে নাকি এবারের মতো গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক বিষয়ে হবে, সেটি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।
তিনি বলেন, যদি সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে এবারের মতো পরীক্ষা নেওয়া হবে।
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।