গভীর রাতে ভোরের কাগজের অনলাইন সম্পাদককে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তিনি কিছুক্ষণ আগে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডিবি প্রধান ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।’

তবে এত রাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডিবি প্রধান কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। সায়েরের দাবি, সোহেলকে তুলে নেওয়ার সময় উপস্থিত আশরাফুল নামের এক পুলিশ সদস্য সোহেলের স্ত্রীকে জানান—“ডিবি প্রধান তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান এবং কথা শেষে বাসায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, স্মার্টফোন বিক্রেতাদের দাবি–দাওয়া উপেক্ষা করে তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এনইআইআর কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগী ছিলেন নেদারল্যান্ডের নাগরিক ও বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব। আগামীকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, যেখানে মিজানুর রহমান সোহেল একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তাদের পরামর্শ দিচ্ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এই সংবাদ সম্মেলন বানচাল এবং ভীতিপ্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ফয়েজ তৈয়বের ইশারায় সোহেলকে রাতেই তুলে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটিকে ‘সাংবাদিক হেনস্তা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন জুলকারনাইন সায়ের। তাঁর ভাষায়, “যদি ফয়েজ তৈয়ব সত্যিই এই ঘটনার পেছনে কলকাঠি নেড়ে থাকেন, তাহলে গণমাধ্যমকর্মীদের ভাবতে হবে তাঁর বাকি দিনের কার্যক্রম কভার করা উচিত কি না।”