মানিকছড়িতে পারিবারিক কোন্দলে ছেলের হাতে বাবার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার ২২শে জানুয়ারী ২০২৫ ১২:২১ অপরাহ্ন
মানিকছড়িতে পারিবারিক কোন্দলে ছেলের হাতে বাবার মৃত্যু

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ছেলে খোকন মজুমদারের (৩৫) হামলায় পিতা বিনোদ বিহারী মজুমদার (৭২) মারাত্মকভাবে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  


পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা যায়, ঘটনাস্থলে বিনোদ বিহারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করার পর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান। খুনের পর থেকে ঘাতক ছেলে পলাতক রয়েছে, তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।  


এলাকাবাসীর দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয়রা। এই নির্মম ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।  


মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং ঘাতক ছেলেকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।  


স্থানীয়রা বলেন, পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। কিন্তু তা এত বড় দুর্ঘটনার দিকে গড়াবে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারিবারিক বিরোধ মীমাংসায় সমাজের ভূমিকা রাখা উচিত।  


অন্যদিকে, নিহত বিনোদ বিহারীর পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাদের পুরো পরিবারকে বিভক্ত ও বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।  


এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অপরাধীরা আরও সাহস পাবে। প্রশাসনকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।  


পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ছেলে খোকন মজুমদারের গ্রেপ্তার এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শেষ হওয়ার পর এই বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।