সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি এবং তার সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিন প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়ে গেছেন। এই ঘোষণাটি আসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) একটি প্রতিবেদনে সজীব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সজীব ওয়াজেদ ও তার স্ত্রী ক্রিস্টিনের ব্যাংক হিসাবের মধ্যে সন্দেহজনক কার্যক্রম পাওয়া গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা এফবিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এফবিআই আরো দাবি করেছে যে, সজীব ওয়াজেদ অনেক বিলাসবহুল গাড়ির মালিক, যেগুলোর মধ্যে ম্যান ম্যাকলারেন ৭২০এস এবং মার্সিডিজ বেঞ্জের বিভিন্ন মডেল রয়েছে। তবে, জয় দাবি করেছেন যে এসব গাড়ি পুরোনো এবং অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সজীব ও তার পরিবারের আর্থিক কর্মকাণ্ডে গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে, বিশেষ করে কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকংয়ের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। সজীব এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।
এফবিআই রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, সজীবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 'ওয়াজেদ কনসাল্টিং' এবং অন্যান্য কোম্পানির মাধ্যমে অনিয়মের আশঙ্কা রয়েছে। জয় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং তদন্তে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, এবং সজীবের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে নতুন ধরনের তদন্ত শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।