
প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৮

ক্ষমতার দুই বছর পার হয়ে গেলেও বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম অনুষ্ঠিত হয়নি নিয়ম মেনে। সমিতির নির্বাচিতদের কাছ থেকে এ বিষয়ে গত বছর জানতে চাওয়া হলে ইশারা-ইঙ্গিতে তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনাগ্রহের প্রতি। কোনো এক কারণে এজিএমে আগ্রহ দেখাননি তারা। এ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভও ছিল।
এদিকে শুক্রবার এজিএমের ডাক দেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব চত্বরে কমিটির চল্লিশ ভাগ সদস্যই আজ উপস্থিত ছিলেন না। জানা গেছে, মিশা, জায়েদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জনা, নাসরিন, জেসমিনসহ আরও কয়েকজন। তবে এজিএমে উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুই শতাধিক সাধারণ সদস্য। জানা গেছে, এজিএমে বেশকিছু বিষয় নিয়ে হট্টগোল বাঁধে। এর মধ্যে সহ-সভাপতি রিয়াজসহ অন্য সদস্যদের কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে রাগে ও ক্ষোভে এজিএম থেকে ওয়াক আউট করে চলে যান চিত্রনায়ক রিয়াজ। এ সময় উপস্থিত সদস্যরা রিয়াজের পক্ষে কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
রিয়াজ বলেন, ‘কমিটির কোষাধ্যক্ষ যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। দুই বছরে অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সংগ্রহ করেছে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকা। শিল্পীদের জন্য খরচ হয়েছে দুই লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা। বাকি টাকা কেন ফান্ডে ফেলে রাখা হয়েছে? তাছাড়া ভোটার তালিকা নিয়েও কথা বলার ছিল। নতুন ভোটার তালিকায় অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন ছাড়া চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যায় না। কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রভাব খাটিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন। এসব অনিয়মের ব্যাপারে সভায় কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা সুযোগ দেয়নি। আজকের এজিএমটা রাজনৈতিক ভাবনায় পরিকল্পিত। এটা সব সদস্যই বুঝতে পেরেছেন।'
এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘এজিএম হলো যারা কমিটিতে থাকে তাদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে কৈফিয়তের অনুষ্ঠান। সাধারণ সদস্যদের কাছে এদিন কমিটি জবাবদিহি করবে। সভাপতি ও সেক্রেটারি সব প্রশ্ন বা অভিযোগের উত্তর দেবেন। এখানে সবার কথা বলার কিছু নেই৷ এমন কোনো নিয়মও নেই৷’ কিন্তু সহ-সভাপতি হিসেবে রিয়াজ কথা বললে কী এমন ক্ষতি হতো- এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘আজকের এজিএম নিয়ে অনেক পজিটিভ কথা বলার আছে। আমরা প্রথা ভেঙে কমিটির লোককে হাইলাইট না করে আমাদের যারা সিনিয়র তাদের সামনে বসতে দিয়েছি। এজিএমের স্বাগত বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিয়েছি নির্বাচনে সভাপতিপ্রার্থী প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীকে। তিনি এই সম্মান পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। এছাড়া আজ প্রায় তিন শতাধিক সদস্য হাজির করেছি। আমরা প্রথম এজিএম করতে পারিনি সেজন্য সবার কাছে হাতজোড় ক্ষমা চেয়েছি। এত সব ভালো বিষয় রেখে একটা মন্দ দিক তুলে ধরার কিছু দেখছি না।’

ইনিউজ৭১/জিয়া