
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:১১

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার পরিধি আরও বাড়িয়েছে বিএনপি। সাতটি শরিক দলের জন্য অতিরিক্ত আটটি সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর মোস্তফা জামাল হায়দার এবং নড়াইল-২ আসনে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রার্থী হবেন। এছাড়া যশোর-৫ আসনে ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস এবং পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
সমঝোতার অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ-৪ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঢাকা-১২ আসনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে প্রার্থী করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব আসনে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে, সেসব আসনে দলীয় প্রার্থী দেওয়া হবে না। শরিক দলগুলোও নির্ধারিত আসনের বাইরে অন্য কোনো আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। এই শর্তেই আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার বিষয়টিকে দলটি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন এবং তাকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
একইভাবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী এবং এ বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি ইতোমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসন শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন দেওয়া হয়েছে।
দলীয় নেতারা মনে করছেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত শরিকদের নির্বাচনী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই আসন সমঝোতা। একই সঙ্গে ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জনের পর এবারের নির্বাচনে বৃহত্তর জোটগত প্রস্তুতির দিকেই এগোচ্ছে বিএনপি।