ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

ভারত সবসময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশও ভারতের প্রতিবেশী দেশ এবং ভারত সবসময় তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। তিনি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানান, ভারত কখনোই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না এবং এই নীতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর আদর্শ অনুসরণ করে।


রাজনাথ সিং বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি কারণ প্রতিবেশীদের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।”


এদিকে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতিত হয় এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।


ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, ভারত একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করে, যেখানে সমস্ত সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে করা হবে।


জয়সওয়াল বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ সরকার সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করবে।


ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে আরও বলেন, "হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।"


এছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মাসে ওমানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক করা উচিত নয়।


এ সকল বিষয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা এবং দুই দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সূত্র: আইএএনএস।