জিরো পয়েন্টে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সীমান্তে উত্তেজনা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , নিজস্ব প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:২১ অপরাহ্ন
জিরো পয়েন্টে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সীমান্তে উত্তেজনা !

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী গ্রামের ঝাকুয়াটারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ সংলগ্ন একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এই গাছের পাশে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের এবং ভারতের নাগরিকরা একত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। 


সোমবার সকালে, স্থানীয়রা ফজরের নামাজের পর মসজিদ সংলগ্ন ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরাটি দেখতে পেয়ে বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পাওয়ার পর, বিজিবি ভারতীয় কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ছোটো গারাল ঝোরা বিএসএফ ক্যাম্পে যোগাযোগ করে এবং সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করে। 


কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিজিবি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ঘটনায় বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক করেছে। বৈঠকে বিএসএফকে সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তবে, সোমবারের পরবর্তী খবর অনুসারে, বিএসএফ সিসি ক্যামেরাটি সরিয়ে নেয়নি।


স্থানীয় বাসিন্দা কফিলুর রহমান জানান, তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন কারণ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও তীব্র হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।” 


বিজিবি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছে, যেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কারণ ও এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজিবি দাবি করছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ সীমান্তের শান্তি ও নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক এখনো চলমান, তবে স্থানীয়রা চাচ্ছেন যে, সীমান্তের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই ধরনের ঘটনা আরও না ঘটুক। উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ও সীমান্তের শান্তি রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে, এমনটাই আশা করছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।


এদিকে, সীমান্ত এলাকায় এরকম উত্তেজনা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্থানীয়দের জন্য এ ধরনের ঘটনা অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে, এবং তারা দ্রুত এর সমাধান আশা করছেন।