স্বনামধন্য কৌতুক অভিনেতা আনিসুর রহমান আনিস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর টিকাটুলীর নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।অভিনেতা আনিসের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার জামাই মোহাম্মদ আলাউদ্দিন শিমুল। তিনি বলেন, রাতে নামাজ পড়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন বাবা (শ্বশুর)। ওখানেই তার স্ট্রোক হয়। টিকাটুলী জামে মসজিদে আজ সকাল ৯টায় আনিসের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার হবে ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার বল্লবপুর গ্রামে। সেখানে বাদ আসর তাকে সমাহিত করা হবে।
আনিস চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন অভিনেতা নয়, চিত্রসম্পাদক হিসেবে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ভ্রাতৃদ্বয় এহতেশাম ও মুস্তাফিজের লিও দোসানী ফিল্মসে সহকারী সম্পাদক ও পরিচালক ছিলেন তিনি। এ দুই নির্মাতার মাধ্যমেই একসময় অভিনয়ে নিয়মিত হন আনিস। ১৯৬০ সালে বিষকন্যা ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় আনিস অভিনীত প্রথম ছবি জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এইতো জীবন’। তারপর থেকে তিনি অভিনয় করেই গেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি অভিনয় করেছেন। নবাব সিরাজদ্দৌলা নাটকে গোলাম হোসেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মঞ্চে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
তার বাবা মরহুম আমিনুর রহমান চা বাগানের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ বল্লবপুরে। ১৯৬৫ সালে খালাতো বোন কুলসুম আরা বেগমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন আনিস। উনপঞ্চাশ বছর একসঙ্গে সংসার করেছেন তারা। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে এতটুকু ছেদ পড়েনি তাদের ভালোবাসায়। আনিসের বড় মেয়ে ফারহা দীবা থাকেন আমেরিকাতে। তার স্বামী তারেক হোসেন সেদেশে ব্যবসা করেন। ছোট মেয়ে ফাতেমা রহমান রিমি কুমিল্লায় আছেন। তার স্বামী আলাউদ্দীন সেখানে ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত। রিমি ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন। আগে ফরিদপুরের একটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। কিন্তু সন্তান জন্মের পর চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।