অশ্রুসিক্ত চোখে মিলা আজ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হলেন। সেখানে তিনি তার জীবনের এক অধ্যায় তুলে ধরলেন। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,‘আমার সঙ্গে তখনও ডিভোর্স হয়নি পারভেজ সানজারির। কিন্তু তখনই আমার সহকর্মী হিল্লোল ভাইয়ের স্ত্রী নওশীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তারা ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করতো। কথাগুলো বলছিলেন শিল্পী মিলা।’
মিলা বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর নওশীনকে কল দেই তখন সে বলে, একজন পাইলটের সঙ্গে পরিচয় থাকতেই পারে। তখন তাকে আমি ধমকের সুরে বলি তুমি কি পাইলট যে, পাইলটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে? আর নরমাল সম্পর্ক থাকলে কীভাবে মেসেঞ্জারে খোলামেলা ছবি পাঠাও?’ মিলা তার সংসার ভাঙার জন্য নওশীনের পাশাপাশি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইটিভির তাসনুভা নামে এক নারী কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। এ দুজন ছাড়াও অন্য নারীদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন মিলা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডস্থ একটি একটা রেঁস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করেন মিলা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিলার বাবা অবসর প্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল শহিদুল ইসলাম, মা ও ছোট বোন দিশা। মিলা বলেন, ‘আজ আমি ও আমার পরিবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার ভালো-খারাপ সব সময়ের সাক্ষী আপনারাই, তাই এখন একমাত্র আপনাদের সাহায্যই পারবে আমাকে ন্যায্য বিচার দিতে। সবাইকে আমার পাশে থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা। বিয়ের পর গানে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। জড়িয়ে যান সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব-বিবাদে। নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে এনে স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। সবশেষে, সংসার জীবনের ইতি টানেন পপ গানের এই শিল্পী। দীর্ঘদিন গানে অনুপস্থিত থেকে ফের নতুন উদ্যামে ফিরেছেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।