গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরসহ সারাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হচ্ছে। এ অভিযানে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ থানায় তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়।
শনিবার রাত থেকে যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযান জোরদার করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী টহল বাড়ায় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।
ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শুক্রবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ২৫-৩০ জন ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে কৌশলে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর মসজিদের মাইকে ‘ডাকাতি হচ্ছে’ বলে ঘোষণা দিয়ে মুখোশ পরা হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে শনিবার বিক্ষোভ করে।
এদিকে, শনিবার রাতে বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে আসা এক মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মোবাশ্বের হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রথমে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার বন্ধুরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত এবং তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটককৃতদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।