মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশে ১১তম স্হান অর্জন করেছে কুড়িগ্রামের উলিপুরের তৌফিকুর রহমান তরঙ্গ। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এই অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে শান্তিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান সেলিম এবং গৃহিণী মোছাঃ নাজমিন আক্তার রিতার একমাত্র সন্তান তরঙ্গ।
নম্র ও ভদ্র স্বভাবের তরঙ্গ এর আগেও তার মেধার পরিচয় দিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে সে ১৫তম স্হান অর্জন করেছিল। তার এই ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য এলাকাবাসী গর্বিত। তরঙ্গের শিক্ষক, পরিবার এবং বন্ধুরা তার এই অর্জনকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন।
তরঙ্গের বাবা হাফিজুর রহমান সেলিম পেশায় একজন শিক্ষক হলেও তিনি একজন আদর্শবান অভিভাবক। ছেলের সাফল্যে তিনি আবেগাপ্লুত। তার মা মোছাঃ নাজমিন আক্তার রিতা বলেন, "ছোটবেলা থেকেই ছেলেকে আমরা মানবিক হতে শিখিয়েছি। তার বড় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা।"
তরঙ্গের সাফল্য উলিপুর এলাকায় আনন্দের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। স্কুল ও এলাকায় তার বন্ধু এবং শিক্ষকেরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তারা বলেন, তরঙ্গ তাদের এলাকাকে গর্বিত করেছে।
তরঙ্গ জানায়, তার স্বপ্ন সেরা ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা। "আমি চাই, আমার শিক্ষায় আর সেবায় সবাই উপকৃত হোক। দেশের প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা পেতে যেন সহজে পারে।"
তরঙ্গের সাফল্যের পেছনে তার স্কুল, কলেজ এবং পরিবারের নিরন্তর সহযোগিতা ছিল। তার মতে, সঠিক পরিকল্পনা, অধ্যবসায় এবং পরিবারের দোয়া তাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
উলিপুরের বাসিন্দারা তরঙ্গের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। তরুণদের কাছে তরঙ্গ এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তার সাফল্য প্রমাণ করে যে গ্রাম থেকেও বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
তরঙ্গের এই সফল যাত্রা শুধু তার পরিবারের নয়, পুরো কুড়িগ্রামের গর্ব। সবাই আশাবাদী যে তরঙ্গ ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবায় কাজ করবে এবং আরও অনেক সফলতার নজির স্থাপন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।