বাংলাদেশের বিকৃত করা সিনেমায় বাঁধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বিকৃত করা সিনেমায় বাঁধন

বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজের নতুন সিনেমা ‘খুফিয়া’র একটি চরিত্রের জন্য বাংলাদেশের একাধিক অভিনেত্রীর কাছে প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তারা সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অবশেষে সেই সিনেমায় যুক্ত হন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।


জানা যায়, প্রথমে সিনেমাটির প্রস্তাব আসে তারকা অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের কাছে। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর তার মনে হয় সিনেমাটি রাজনৈতিক ঘারানার। সেখানে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আরও কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে না জেনে গল্পটি তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ভেবে তার মনে হয়েছে, এ ধরনের ভুল উপস্থাপনের কোনো কিছুতে তার যুক্ত হওয়াটা ঠিক হবে না।


মিমকে না পেয়ে ‘খুফিয়া’ নামে সেই সিনেমার প্রস্তাব নিয়ে মেহজাবীনের দরজায় কড়া নাড়েন বলিউডের খ্যাতিমান এই নির্মাতা। কিন্তু বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার কারণে মেহজাবীনও তাকে ‘না’ করে দেন।


যে নির্মাতার হাত ধরে ‘মকবুল’, ‘ইশকিয়া’, ‘কামিনে’, ‘হায়দার’, ‘ওমকারা’র মতো ব্যবসাসফল হিন্দি সিনেমা নির্মাণ হয়েছে, সেই পরিচালকের লোভনীয় প্রস্তাব একই কারণে প্রত্যাখ্যান করেছেন এই দুই লাক্স তারকা। তবে ভিন্ন পথে হেঁটেছেন আরেক লাক্স সুন্দরী আজমেরী হক বাঁধন। বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ লুফে নিয়েছেন তিনি। তবে তার এই সিনেমায় কাজ করা নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।


বাঁধন জানান, ‘খুফিয়া সিনেমায় আমি বাংলাদেশের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে আমার চরিত্রটা খুব বেশি সময়ের জন্য পর্দায় থাকবে না। সিনেমাটি করতে আমি রাজি হয়েছি কারণ উনার (বিশাল ভরদ্বাজ) মতো একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব এবং এই অভিজ্ঞতাটা আমার জীবনে একটি বড় ব্যাপার হয়ে থাকবে।’


বাংলাদেশকে বিকৃত করা সিনেমায় কেন যুক্ত হলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী জানান, ‘আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।’


এদিকে গেলো বছরের ১৪ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে বাঁধনের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজ লিখেছেন, বাংলাদেশের অভিনেত্রী বাঁধনকে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। সেই পোস্টে হ্যাশট্যাগ ‘খুফিয়া’ যুক্ত করেন তিনি।


নেটফ্লিক্সের প্রযোজনায় অ্যাকশন-ড্রামা ‘খুফিয়া’ সিনেমাটি অমর ভূষণের ‘এসকেপ টু নোহোয়ার’ বইয়ের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। যেখানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র), ভারতের বাইরের গোয়েন্দা সংস্থা এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও একজন যুগ্ম সচিব কীভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়, সেই গল্প তুলে ধরা হবে।