ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাথে তুরস্কের কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী আদান-প্রদানের সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ তুরস্কের কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সাক্ষরিত চুক্তিনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারীর কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, আইআইইআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহের আলী ও অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমানসহ প্রমুখ।
আগামী ৫ বছরের জন্য ম্যাভলানা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম প্রোটকল এর আওতায় শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদন করতে পারবেন। এতে ডিপ্লোমা, অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে- ইংরেজি, বিজনেস স্টাডিজ, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, ল্যাংগুয়েজ এন্ড ফিলোলজিকাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিকস্, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ফাইন আর্টস, মার্কেটিং, ট্যুরিজম এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এবং ইনভারমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি এ ১৩টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে তুরস্কের চানকিরি কারাটিকিন বিশ্ববিদ্যালয়, ইগডির বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড কালচার। এর সাথে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আরো ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশীদ আসকারী বলেন, "আমাদের এটি দিয়ে আট থেকে দশটি দেশের মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এম ইউ সাইন হয়েছে। এটি দুইভাবে দেখার সুযোগ আছে। এক হচ্ছে এখনে এটা কার্যকর যদি নাও হয় তাবুও ইতিবাচক একটি ব্যাপার। কারণ এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নাম ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে আমরা হয়তো এখনো কার্যকর কিছু করতে পারিনি কিন্তু এই এম ইউ সাইন টাই একটা ভ্যালু এ্যাড করবে। ব্রুনাইয়ের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তারপর এটির কারণে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ব্রুনাইয়ের সাথে চুক্তির জন্য আমাদের এম ইউ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। আমরা যে স্টাটিস্টিক পার্টনার সেটা প্রতিষ্ঠা হাওয়া টাও কিন্তু একটা প্রাথমিক বিজয়। তারপর আমরা সেগুলো কে কার্যকর করব। যেমন কাফকাসের সাথে কার্যকর হচ্ছে , চীনের সাথে কার্যকর হয়েছে। আমাদের এখান থেকে ১৩ টি বিভাগের প্রত্যেক বিভাগ থেকে চারজন করে শিক্ষার্থী সেখানে যাবে এবং সেখান থেকে আমাদের এখানে ৪ জন করে শিক্ষার্থী আসবে। এটি শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, সাংঘাতিক রকমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু আশার-যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় তারা আসবে এখান থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে যাবে এর মধ্যে তাদের আর আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, পরস্পরে সহযোগি ও আতিথিয়েতার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায় গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শিক্ষার গতিশীলতা একুশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে কাজ করবে। এটা হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকীকরণের পথে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। এবং এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় অর্জন।"
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।