দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে (মাস্টার রোল) চাকরি করছেন প্রায় ২৮০ জন কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বারবার চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানালেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। স্থায়ী নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রেখেছেন তাদের এক ঘন্টা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাস্টাররোল কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পাশে ব্যানার টাঙিয়ে তারা অবস্থান নেন।
এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় মাস্টারোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। বিষয়টি সুরাহার জন্য একইদিন সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেটে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি সুরাহার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাস্টাররোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের কর্মচারী মাসুদুর রহমান বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের ২৮০ জন কর্মচারী দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ে চাকরির পর প্রায় সবাই অন্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সের যোগ্যতাও হারিয়েছেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। সাত কার্যদিবসে মধ্যে তা সুরাহা না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।
কমিটির একজন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, একসাথে এত কর্মচারীর নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ১০/২০ জন করে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া গেলে তাদের সংখ্যাটা কমতে শুরু করবে। সিন্ডিকেটে এই বিষয়ে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।