ঢাক-মাওয়া ইলিশ পরিবহনের ধাক্কায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গুরত্বর আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বেজগাঁও স্ট্যান্ডে ঘাতক বাস ঐ শিক্ষার্থীর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর সহপাঠীদের দাবি ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি জেড়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই মবিনকে ধাক্কা দিয়েছে বাসের ড্রাইভার-হেলপার। আহত শিক্ষার্থী মবিন আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
মবিনের সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ ক্লাস শেষে মবিন আলী মাওয়াগামী ইলিশ পরিবহনে করে মুন্সীগঞ্জ এর শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। শ্রীনগর বেজগাঁও স্ট্যান্ডে পৌঁছলে চলন্ত অবস্থায় বাসটি থেকে যাত্রী মবিন আলীকে নামিয়ে দেয়। কিন্তু ঠিকমত নামার আগেই বাসটি টান দিলে মবিন পরে যায় এবং বাসের পিছনের চাকা তার ডান পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। বাসের আঘাতে মবিনের ডান পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মবিনের সহপাঠী আল-আমিন হোসেইন জানান, মবিন শ্রীনগর বেজগাঁও স্ট্যান্ডে পৌঁছালে বাস থেকে নামার আগেই বাস টান দেয়। ফলে মবিন পরে যায় এবং বাসের পিছনের চাকা ওর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমরা খবর পাই ও ঢামেকে ভর্তি আছে। ডাক্তার জানিয়েছে ওর ডান পা মারাত্মক জখম হয়েছে এবং ভেঙে গেছে।
মবিনের অপর সহপাঠী রাশেদ হাসান রাজ বলেন, বাসে ভাড়া নিয়ে কনটাক্টারের সাথে ওপর কথা-কাটাকাটি হয়। কনটাক্টার ৭০ টাকা ভাড়া দাবি করে কিন্তু ঐ রুটে ৬০ টাকা ভাড়া, এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মবিন গন্তব্যেে পৌঁছলে ইচ্ছাকৃতভাবে বাস পর্যপ্ত স্লো না করে চলন্ত অবস্থায় ওকে নামিয়ে দেয় ফলে এ দূরর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা- মাওয়া রোডে বেজগাঁও স্ট্যান্ডে এঘটনা ঘটেছে। ইলিশ পরিবহনের মালিক পক্ষের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, তারা চিকিৎসার দায়িত্ব নিবে বলে জানিয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।