জগন্নাথে মাইগ্রেশনের নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৩ই জানুয়ারী ২০২০ ০৭:৫০ অপরাহ্ন
জগন্নাথে মাইগ্রেশনের নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে  মাইগ্রেশনের নাম করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর সিকদার ঝোটনের ছেলে সায়েম সিকদার ও তার অনুসারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত ছাত্র সামিউল তাজিব শিশির, কবি নজরুল কলেজের প্রথম বর্ষের ‍আজিজুল খান রাফি, শোভন, হিমেল এবং সৈকত।

সোমবার( ১৩ জানুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাকারীয়া ইসলাম। অভিযোগকারী জাকারীয়া ইসলাম অভিযোগ পত্রে লিখেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র। তাকে মাইগ্রেশনের নাম বলে ও  ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এবংজোর করে উঠিয়ে নেয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন।

অভিযোগকারী জাকারীয়ার সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরে আমার পজিশন ছিল ২হাজার ৩৬। আমি প্রথমে সাব্জেক্ট পাইনি। পরবর্তীতে ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগে সুযোগ পাই। পরে আজিজুল খান রাফি মাইগ্রেশন করিয়ে আইন বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। তখন আমি পরিবারের সাথে কথা বলে জানাবো বলে জানাই। পরবর্তীতে তারা আমার কাছ থেকে ভর্তির রোল নাম্বার নেয় তার পজিশন দেখার জন্য। আমি যখন জানতে পারি মাইগ্রেশানে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেটিক তখন আমি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করি ।প্রত্যাখান করে দেয়ার পর তারা ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছে বলে দাবি করে। তারা মাইগ্রেশনের নামে টাকা চাইলেও আমার মাইগ্রেশন হয়নি। সেই টাকা দেয়ার জন্য নানান রকম হুমকি দিতে থাকে। 

জাকারীয়া আরো জানান, অভিযুক্তরা তাকে গত ৮ ও ৯ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে টাকা চাপ প্রয়োগ করে। জানুয়ারির ১৪ তারিখের মধ্যে দাবি কৃত ৮০ হাজার টাকা না দিলে অন্য জামেলায় ফাঁসিয়ে আরও বেশি টাকা আদায়ের হুমকি দেয়।

এরই প্রেক্ষিতে সোমবার(১৩ জানুয়ারী) জাকারীয়া ইসলামকে তুলে নেওয়ার জ্ন্য শিশির এবং রাফি ক্যাম্পাসে আসে। এদিকে জাকারীয়া বিষয়টি সিনিয়রদের জানালে তারা রাফিসহ জাকারীয়াকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। এরপরে আজিজুল খান রাফিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়টি নিয়ে সায়েম শিকদারকে ফোন দিলে ফোনের অপরপাশ থেকে এক মহিলার কন্ঠে সায়েম সিকদারের নাম্বার নয় বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এবিষয়ের সাথে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করা হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা হবে। এবিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য কোতয়ালী থানার ওসি নূর আলম বলেন, আমি একটা মিটিংএ আছি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশনের নামে চাঁদা দাবি করেছিল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব