পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্স কোচিংগুলো খোলা রাখার দাবী করে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশের (অ্যাসেব) আহবায়ক মো: ইমাদুল হক বলেন, কোনো দেশের উন্নতির মূল নিয়ামক হলো উপযুক্ত শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তি। বিগত দশকে শিক্ষাখাতে সর্বস্তরেই দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে বর্তমান সরকারের হাত ধরে। সকল শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা গ্রহণের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।
এছাড়াও বিনামূল্যে বই বিতরণ, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রবর্তন স্কুল কলেজগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন ইত্যাদি কার্যকরী উদ্যোগগুলোর অন্যতম। কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ স্কুল কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কোচিংগুলোও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ছাত্রছাত্রীরা।দিশেহারা হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চায় ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন অ্যাসেব।
আজ রবিবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় এসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহবায়ক বলেন বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষা খাতে আমরা বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে পারলেও বর্তমান দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সমস্যা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে- সেটা হলো প্রশ্নফাঁস । বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার মধ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাও একটি। যদিও প্রশ্ন তৈরী, বিতরণ, সরবরাহ কোন প্রক্রিয়ার সাথেই কোচিং সেন্টার জড়িত না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন ২০১৮ সালে ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মত এস.এস.সি পরীক্ষার সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোচিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলো সে বছর বিগত সময়ের মতই প্রশ্নপত্র ফাঁস অব্যাহত থাকে। আবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পি.ই.সি পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ ঘোষণা করেন নি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা ছিল, কিন্তু কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। এর থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সাথে প্রশ্নফাঁস হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। ফলে আমরা বলতেই পারি প্রশ্নফাঁসের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।
এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশনের পক্ষ থেকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ করা হয় যে, বৃহত্তর স্বার্থে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হোক যাতে পাবলিক পরীক্ষার সময়ও বন্ধ রাখতে না হয়। এত করে বৈষম্য হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এবং মেধাবী তরুণরাও এই সেক্টরে আসতে উৎসাহিত হবে। সেক্ষেত্রে, ছায়াশিক্ষা এন্টারপ্রিনিয়রশিপের অনেক ভাল একটা ক্ষেত্র হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনটির যুগ্ন আহবায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ। অন্যান্য যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।