ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মসূচিকে ঘিরে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদলের সমাবেশের পাশেই এ ঘটনা ঘটে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে মধুর ক্যান্টিনের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। এসময় প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা। এসময় সমাবেশস্থলের পাশে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করে।
ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান। তিনি প্রশাসনের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনকে এর আগে বেশ কয়েকবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা জানানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়। ছাত্রদল বিস্ফোরণ করবে, প্রশ্নই ওঠে না।
এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনও ধরণের অপ্রীতকর ঘটনা না ঘটে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ মুহূর্তে তেমন কিছু বলতে পারছি না।
এর আগে গত ২৬, ২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৩০ ডিসেম্বর মধুর ক্যান্টিনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মধুর ক্যান্টিনের হৃদয় নামের এক কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।