দেশের রাজধানীর প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলছে ১ম সমাবর্তন প্রস্তুতির কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জবির ১ম সমাবর্তন। ২০০৫ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পর দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় পর সমাবর্তন পেতে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
আসন্ন সমাবর্তনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে সমাবর্তনের সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর ও বিভাগগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য চলছে ভবনগুলো রং করাসহ আরও বিভিন্ন কাজ । সমানতালে চলছে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধুপখোলায় মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ।
সমাবর্তনের অংশ নিতে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের সনদ তৈরির জন্য অনেক আগ থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। এরই মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজনকে কেন্দ্র করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক এবং প্রশাসন ও একাডেমিক অ্যান্ড কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিয়াদুর রহমানকে সদস্য-সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সমাবর্তনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে দিনভর কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র হতে জানা যায়, ১৯ হাজার গ্রাজুয়েটের সনদে সাক্ষর করেছেন জবি উপাচার্য ড.মীজানুর রহমান । জবির ১ম সমাবর্তনে স্নাতক ১১৮৭৭ জন,স্নাতকোত্তর ৪৮২৯ জন,এম ফিল ১১ জন,পিএইচডি ৬ জন,ইভিনিংয়ের ১৫৯৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটরা ৭, ৮ ও ৯ জানুয়ারি অফিস চলাকালীন (সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা) সময়ে স্ব-স্ব বিভাগ হতে কস্টিউম, ব্যাগ ও গিফট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের দিন (১১ জানুয়ারি) বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত, ১২ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত স্ব-স্ব বিভাগ হতে মূল সনদ গ্রহণ করবেন। উল্লেখিত তারিখের মধ্যে সনদ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে, পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে মূল সনদ গ্রহণ করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিবেন পদার্থ বিজ্ঞানে বাংলাদেশের একমাত্র ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক। নিরাপত্তার জন্য মাঠে পুলিশ ,এন এস আই,র্যাপ ও ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষনিক অবস্থান করছে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন,সার্বক্ষনিক পুলিশ হেড কোয়াটারের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্টপতি থাকবেন এজন্য আমাদের নিরাপত্তার কোন কমতি নেই।
সমাবর্তনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান বলেন,এটি আমাদের প্রথম সমাবর্তন নতুন অভিজ্ঞতা।এর পর থেকে প্রতিবছর সমাবর্তন হবে।আমাদের সবগুলো কমিটি খুব ভালোভাবে কাজ করছে এবং আমাদের প্রস্তুতির কোন কমতি নেই।নিরাপত্তার জন্য গ্রাজুয়েটদের মোবাইল নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য বলা হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।