'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের অধ্যাপক জাকারিয়ার ফোনলাপ ফাঁস।
ঐ ফোনালাপে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে নিয়োগের জন্য উৎকোচের দরকষাকষি হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন, এই দরকষাকষিতে এখন রেট কত?'
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনের ভবনের সামনে 'দুর্নীতির বিরোধী শিক্ষক সমাজ' র ব্যানারে প্রশাসনের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে প্রশাসনের অপসারণের দাবিতে অব্যাহত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের জোট মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানব বন্ধনে অধ্যাপক সামাদী আরো বলেন, 'আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন কোনো বছর একজন দু'জন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করতে পারতো। আর এখন পরিসংখ্যান করে দেখা গেছে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের একটা ব্যাচে ৮৭ জন ছাত্র আবেদন করতে পারে। বাংলা বিভাগের একটি ব্যাচে ৫৩ জন আবেদন করার যোগ্য। এই সবকিছুই করেছেন মাননীয় উপাচার্য তার কন্যা ও জামাতাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য।'
উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন ' দুর্নীতি আর কত করবেন, কন্যা আর জামাতাকে তো নিয়োগ দিলেন। এবার বন্ধ করুন অন্তত। '
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ভূ-তত্ত¡ ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি সুলতান উল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসাইন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মজিবুল হক খান আজাদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যঅপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা, ভূগোল পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, গনিত বিভাগের অধ্যাপক আসাবুল হক প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।