সৌন্দর্যবর্ধনে রাবিতে পাঁচ ভাস্কর্য, ব্যয় ৮ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৩রা আগস্ট ২০১৯ ০৮:১৪ অপরাহ্ন
সৌন্দর্যবর্ধনে রাবিতে পাঁচ ভাস্কর্য, ব্যয় ৮ লাখ

সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পাঁচটি নতুন ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভাস্কর্যের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দুইটির কাজ দ্রুতই শুরু হবে। এসব ভাস্কর্যগুলোর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা। ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে যে তিনটির কাজ শেষ হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ওয়েবসাইটের ফলক (ৎঁ.ধপ.নফ)। যেটি লাগানো সবুজ ঘাসের মেঝেতে পাথরের পাঁচিলের উপর স্থাপনা। শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে সক্রেটিস ও আলবার্ট আইনস্টাইনের বাণী সম্বলিত বইয়ের স্থাপনা। যা উন্নত বিদ্যাপীঠের নির্দেশক। ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ভবন ও সত্যেন্দ্র নাথ বোস ভবনের মাঝখানে সবুজ ঘাসের উপর ‘কিউব’ ভাস্কর্যের স্থাপনা। 

যে দুটির কাজ শুরু হবে- বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে নির্মিত হবে একটি ‘বইয়ের স্তুপ’ এবং জুবেরী ভবনের পশ্চিম দিকে প্যারিস রোড সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত হবে একটি ‘নির্দেশক পোল’ যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং স্পটের দুরত্ব বোঝানো হবে। প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ওয়েবসাইট, ‘বই’এর ভাস্কর্য, ‘বইয়ের স্তুপ’, ও ‘নির্দেশক পোল’সহ চারটি ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য তিন লাখ ৯৮ হাজার ৬৮০ টাকা ও ‘কিউব’ ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য চার লাখ ৪২ হাজার টাকা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বাজেট বরাদ্দ কম অথবা বেশি হতে পারে।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য চৌধুরি মো. জাকারিয়া বলেন- প্রধান ফটকে একাডেমিক ওয়েবসাইট সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন ও ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ভবনের প্রবেশ পথের সামনে ভিন্ন দুটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে এসব স্থানে ভাষ্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। আরও দুটি স্থানে দুটি ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ.কে.এম আরিফুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য’র তত্ত¡াবধানে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় এই ভাস্কর্যগুলো স্থাপনার কাজ হচ্ছে। এছাড়াও ভ‚গোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রকীব আহমেদের সহযোগীতায় স্থাপনাগুলো শাহিদ এন্ড ব্রাদার্স কোম্পানির আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব