রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ইবি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
মারধরে অভিযুক্তরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। অভিযুক্তরা হলেন ফোকলোর বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি শাখা দর্শন বিভাগের ৩য় বর্ষের মেহেদী হাসান পারভেজ, একই বিভাগ ও বর্ষের ইমরান হোসেন, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ঝলক সরকার ও কর্মী আতিক।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তার বড় ভাই আরাফাত রহমান জানান, ওই শিক্ষার্থী রিকশায় চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া থেকে কাজলার দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় কয়েকজন যুবক এসে রিকশা থেকে জোরপূর্বক তাকে নামিয়ে ইবলিসে চত্তরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে ফোন কেড়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল যোগে হবিবুর রহমান হলে নিয়ে রুমে আটকে রেখে ঘন্টাব্যাপী শারীরিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের ৫/৭জন নেতাকর্মী। মারধর শেষ করে তারা আবার শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়।
ঘটনা জানাজানি হবার পর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার হস্তক্ষেপে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর পরেই আমি হবিবুর রহমান হলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি মোবাইল উদ্ধার করি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতা মনিরুল এর বিরুদ্ধে আমরা আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক কুকাম করে বেড়াচ্ছে। ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার পরপরই সে মূলত নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মতে বেশ সক্রিয়। আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আলোচনা করছি। অভিযুক্ত মনিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।