প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১:৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেশের সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে চারদিনে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান—এই চারটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয় দুটি ৫০ শতাংশ করে একটি সমন্বিত প্রশ্নে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআই সংলগ্ন বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুমতি দেওয়া হবে। এতে বিদ্যালয়গুলোকে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই করতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) চালু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালে বৃত্তি পরীক্ষার পুনরায় সূচনা নিয়ে আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর মেধাবৃত্তি এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থাই চালু রাখা হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আবারও এই পরীক্ষাটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই এবং তাদের উৎসাহ প্রদানের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে এবং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও আগ্রহী হবে।
পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়সূচি, প্রশ্ন কাঠামো এবং অন্যান্য নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। এই পরীক্ষাকে ঘিরে বিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকেই প্রস্তুতির ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।