ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মহলের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে হামলার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ঠিক কতজন কর্মী নিহত হয়েছে, সে সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সরকার বা হেফাজত নিজেই এই বিষয়ে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করে প্রকাশ করতে পারে।
প্রেস সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল হিসেবে এ ধরনের অভিযান চালিয়েছে এবং এতে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টা ছিল। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপকভাবে রাইফেল ব্যবহার করেছে, যা তদন্তের দাবি রাখে।
সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে এবং একতরফা নির্বাচনের পরও বিদেশি সমালোচনার মুখে পড়েনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে গণহত্যার ঘটনাগুলোকে জঙ্গিবাদ দমন অভিযানের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ২০২৪ সালের গণহত্যার সময়ও একই ধরনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, যা ক্ষমতা রক্ষার কৌশলের অংশ।
শফিকুল আলম বলেন, ২০২৪ সালের তরুণ সমাজ শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে দিয়েছে যে একনায়কতন্ত্রের দিন শেষ। শাপলা চত্বরসহ অতীতের সকল হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করা হবে বলে সরকার আশ্বাস দিয়েছে। তবে আপাতত চলমান গণআন্দোলন ও অভ্যুত্থানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
তিনি জানান, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে সুবিচার নিশ্চিত করতে সময় লাগবে এবং সরকারের উচিত সব তথ্য প্রকাশ্যে এনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।