ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস খাদে ছিটকে পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে গেরদার অবৈধ রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ৯ জন যাত্রী ছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুই নারীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকসহ বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেরদা থেকে একটি রাস্তা মুন্সিবাজার এলাকায় গিয়ে মিশেছে, যেখানে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। রেলবিভাগের অনুমোদন ছাড়া তৈরি হওয়া এই রেলক্রসিংয়ে কোনো ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এই ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছিলেন।
ফরিদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন জানান, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পুকুরে পড়ে গেলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ রেলক্রসিংয়ের কারণে এই এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেও দায়ী করেন তারা। দ্রুত এই রেলক্রসিংয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা এবং মাইক্রোবাস চালকের অসতর্কতাই এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।