পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১১ নভেম্বর। ওই দিন প্রথমবারের মতো পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে পৌঁছায়। এর আগে পাকিস্তান থেকে পণ্য আসত মধ্যবর্তী বিভিন্ন বন্দর ঘুরে। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।
চলতি বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি বেড়েছে ২১.৪০ শতাংশ। আমদানিকারকরা জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে করাচির সরাসরি সংযোগ স্থাপনের কারণে এই আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর থেকে বাধ্যতামূলক শতভাগ ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন (কায়িক পরীক্ষা) শর্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মতোই ঝুঁকি বিবেচনায় পরীক্ষা করা হবে।
আমদানিকারকরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচল ও শর্ত শিথিলতার ফলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করা উচিত।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক ব্যয় কমেছে এবং সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। আমদানিকারকরা মনে করছেন, এভাবে আমদানি বাড়তে থাকলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানির পাশাপাশি রপ্তানির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সরাসরি জাহাজ চলাচল বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করলেও দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পেতে রপ্তানি কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।