দেবীদ্বারে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২রা নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০০ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

দেবীদ্বারে ৩ বখাটে কিশোর কর্তৃক ৩ বছরেরর এক শিশুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার সময় দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে। 


ওই দিন ভিক্টিম শিশু(৩) বাড়ির পাশে খেলা করছিল, এসময় জিহাদ খাঁন(১৫), সাঈদ খাঁন ও অজ্ঞাত আরো ১জনসহ ৩ বখাটে কিশোর এসে ভিক্টিম শিশুটিকে ফুসলে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়, সেখানে ৩ কিশোর মিলে তার পরনের বস্ত্র খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তার সূর চিৎকারে ভিক্টিমের মা’সহ ২জন মহিলা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে ৩ কিশোর পালিয়ে যায়, এসময় তাদের স্কুলের বই-খাতাগুলো ধানক্ষেতে পড়েছিল। 


পরে তার অভিভাবকগন স্বজনদের সহযোগীতায় ভিক্টিম শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ওখানে ক্রাইম ক্রাইসেস সেন্টার (ওসিসি)-এ তার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করতে ভিক্টিম শিশু ও তার মা’কে বৃহস্পতিবার সকালে (০২ নভেম্বর) কুমিল্লা ৪ নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়।


ওই ঘটনায় ভিক্টিম শিশুর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) উপজেলার ১৬নং মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের মো. জাকির হোসেনের পুত্র মো. জিহাদ খাঁন(১৫), মো. সবুজ খাঁনের পুত্র মো. সাঈদ খাঁন(১৬) ও অজ্ঞাতনামা আরো একজনসহ ৩জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ০১/২৪৩, তারিখ- ০২/১১/২০২৩ঈং।) অভিযুক্ত দু’জন স্থানীয় মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জিহাদ খাঁন অষ্টম শ্রেণীতে ও জাহিদ খাঁন নবম শ্রেণীতে পড়ে বলে জানা যায়। 


ভিক্টিম শিশুর বাবা জানান, আমার শিশু মেয়ের উপর যারা বর্বরোচিতভাবে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি, কারন ভবিষ্যতে কিশোররা যাতে এজাতীয় অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকে।


দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, ভিক্টিমের বাবা মামলা করেছেন। ৩ বখাটে কিশোর তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।