প্রকাশ: ৯ মে ২০২৫, ১৭:৫০
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগে শুক্রবার হঠাৎ করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে। এতে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটর পর্যন্ত রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই মোড়ে জড়ো হতে থাকে শত শত আন্দোলনকারী। তারা ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এ সময় একাধিক রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়ে এবং যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মোড় অবরোধ করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে অবরোধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও। বিশ্ববিদ্যালয়পাড়া, নিউমার্কেট এবং বাংলামোটর এলাকায়ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনেকে বিকল্প পথেও যানজটে পড়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের আকস্মিক অবরোধ জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে এবং রাজধানীতে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। একইসঙ্গে সরকার বিরোধী শক্তির সংগঠিত অবস্থান তুলে ধরে।
এর আগে এনসিপির পক্ষ থেকে ঘোষিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে। আন্দোলনকারীদের এই ঘোষণার পর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শাহবাগ মোড়ে এখনো আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। পুলিশের কড়া নজরদারিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জনমনে রয়েছে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। আন্দোলন কতদিন চলবে এবং তার পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।