বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অসুস্থ মরা গরু জবাই করে দোকানে মাংস বিক্রি করার সময় ৭ মন মাংস উদ্ধার করেছে। দোকানি পালিয়ে গেলে মাংসোর দোকান সীলগালা করে দিয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন। মরাগরুর মাংসা খেলে মানুষের দেহে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বললেন প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সেরাল গ্রামের আদম আলী শিকদারের ছেলে গৈলা বাজারে মাংস ব্যসায়ী মো.সেন্টু শিকদার অসুস্থ মরা গরু জবাই করে দোকানে মাংস বিক্রি করছিলো।
স্থানীয়রা এমন একটি সংবাদ দেয় আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিনকে। তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২ শত ৮০ কেজি (৭মন) মরা গরু মাংস জব্দ করেন। এ সময় মাংস ব্যবসায়ী মো. সেন্টু শিকদার পালিয়ে যায়।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাংসের দোকানটি সীলগালা করে দিয়েছে। জব্দকৃত মাংসে ডিজেল মিশিয়ে নষ্টকরে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডাক্তার মো.রাফিউল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে এটা মরা গরুর মাংস। মাংস থেকে পচা দূরগন্ধ আসছিলো। এই মরাগরুর মাংসা খেলে মানুষের দেহে নানা ধরনের জটিল রোগ হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন বলেন, স্থানীয়রা আমাকে জানায় গৈল বাজারে সেন্টু শিকদার মরা গরুর মাংস বিক্রি করছে। এর পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত করে ওই দোকান থেকে ২ শত ৮০ কেজি (৭মন) গরু মাংস জব্দ করি।
দোকানদার সেন্টু শিকদার পালিয়ে যায়। মরা গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে তার দোকানর সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত মাংসে ডিজেল মিশিয়ে নষ্ট মাটি চাপা দিয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।