ঘোড়াঘাটে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক-১

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩১শে আগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
ঘোড়াঘাটে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক-১

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে হরিবাসর কীর্তন শেখানোর নাম করে নাবালিকাকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই দীজেন মহন্ত (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


অভিযুক্ত দীজেন মহন্ত উপজেলার পৌর শহরের শহরগাছি হঠাৎ পাড়ার এলাকার মৃত ভোলা নাথ মহন্তর ছেলে। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে।


বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে নাবালিকার বাবা সুধীর মালো (৫২) বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।


পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দীজেন মহন্ত ওই নাবালিকার বাড়িতে যান এবং পরের দিন বাড়িতে ভোগ অনুষ্ঠানের কথা বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ২২ আগস্ট অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বাড়িতে ভোগ অনুষ্ঠান শেষে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা বগুড়া সোনাতলায় এক কীর্তন অনুষ্ঠানে নাবালিকাকে নিয়ে যায়।


পরে গত শুক্রবার রাতে কীর্তন শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি আবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে শনিবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন। সে সময় নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানায়। পরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা তাদের মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নতচিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 


ভুক্তভোগী নাবালিকার বড় ভাই কিশোর মালো (২৪) জানান, কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত ব্যক্তি হরিবাসর করার জন্য আমাদের গ্রামে কীর্তনের দল নিয়ে যান। সে সময় হরিবাসর কীর্তন দলের সদস্য দীজেন মহন্তর সঙ্গে আমাদের পরিবারের পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। আমার ছোট বোনকে দেখে বলে ওর কণ্ঠ অনেক ভালো। আমাদের দলে দিলে অনেক ভালো করবে। আমরা সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করি। সেই বিশ্বাসের কারণেই আজ এই সর্বনাশ হলো।


ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্তকে চোখে চোখে রেখেছিলাম। ঘটনার কয়েকদিন পর হাসপাতালে ওই নাবালিকা অনেকটা সুস্থ হলে গত ৩০ আগস্ট রাতে দীজেন মহন্তের বিরুদ্ধে নাবালিকার বাবা এজাহার দায়ের করে। এজাহারের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।