ভূরুঙ্গামারীতে দুই ছিনতাইকারী সহ ৩জন গ্রেপ্তার, ৭ লাখ টাকা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে দুই ছিনতাইকারী সহ ৩জন গ্রেপ্তার, ৭ লাখ টাকা উদ্ধার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশের ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই ছিনতাইকারী ও তাদের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাইয়ের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সোমবার তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে পাঠানো হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিকাশের হিসাবরক্ষক রেজাউল করিম বাদি হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছিনতাইকারী হলেন নাগেশ্বরী উপজেলার শান্তিটারী দিঘিরপাড় এলাকার মৃত শশী মোহন বর্মণের ছেলে প্রসেনজিত বর্মণ (২৭) ও বোয়ালের ডারা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে খাদেমুল ইসলাম লাল (২৭)। এছাড়া ছিনতাইকারীদের সহযোগীতা করার অভিযোগে পুলিশ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্দা খলিশাকুড়ি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মোন্নাফ আলী (২৫) গ্রেপ্তার করে। খাদেমুল ইসলাম লাল নিজেকে মানবাধিকার কর্মী ও চৌকশ নামক পত্রিকার নাগেশ^রী প্রতিনিধি পরিচয় দিতেন।


পুলিশ জানায়, ভূরুঙ্গামারী ও কচাকাটা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রোববার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্দা খলিশাকুড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তারা মোন্নাফ আলীর বাড়িতে ছিনতাই করা টাকা ভাগাভাগি করছিল। ছিনতাইয়ের মূলহোতা বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুঠি গ্রামের হালিম মন্ডলের ছেলে মোস্তফা (২৮) পলাতক রয়েছে। অবশিষ্ট্য টাকা তার কাছে রয়েছে।


ঘটনার বিবরনে জানাগেছে, রোববার সকালে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ভূরুঙ্গামারী শাখা থেকে বিকাশের হিসাবরক্ষক রেজাউল করিম ২ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। বিকাশ এজেন্টদের মাঝে বিলি করার জন্য তিনি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকের ভিতরে বিকাশ কর্মীদের (ডিএসও) মাঝে ভাগ করে দেন। বিকাশ কর্মী শুভ কুমার রায় (ডিএসও) ও বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মণ (টিএমও) একটি ব্যাগে করে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে তাদের কর্মস্থল সোনাহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তারা ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের লক্ষিমোড় ও ঘুন্টিঘর এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় পৌছলে পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এসময় ধাক্ক দেয়া মোটরসাইকেলে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিকাশ কর্মীদের টাকার ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যায়। 


বিকাশ এজেন্ট মেসার্স জনতা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জরুরী সেবার কল সেন্টার ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। 


নাগেশ্বরী উপজেলার কয়েকজন সাংবাদিক জানান, খাদেমুল ইসলাম লাল পেশাদার সাংবাদিক নন, তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে বেড়ান।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজহার আলী ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট্য টাকা উদ্ধার করা সহ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।