ধামইরহাটে কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আবুমুছা স্বপন, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫০ অপরাহ্ন
ধামইরহাটে কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাংচুর

নওগাঁর ধামইরহাটে রাতের অন্ধকারে একটি পারিবারিক কালী মন্দিরের অগ্নিসংযোগ ও একটি কালী প্রতিমা ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের পশুরামপুর নামক গ্রাম এ ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শকিল বর্মন ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং-৩৬, তারিখ- ২০/০৯/২০২২ইং। এজাহার দায়ের করার সাথে সাথে থানা পুলিশ মাঠে তদন্ত পরবর্তী কৌশলী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। 


তবে ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হকসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। ঘটনায় পশুরামপুর গ্রামের শ্রীচরণের ছেলে শকিল বর্মন বাদি হয়ে মঙ্গলবার দুপূরে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। 


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের শকিল বর্মণের সাথে নির্মাণকৃত মন্দিরের জমির মালিকানা নিয়ে একই এলাকার ভেড়ম গ্রামের মাসুদ সরকার ও তার ছোট ভাই আসাদ সরকারের দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব ও মামলা চলে আসছে। এমতাবস্তায় ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ওই কালী মন্দিরের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে চিৎকার দেওয়ার পর প্রতিবেশির এগিয়ে আসেন। মন্দিরের গিয়ে দেখা যায় মন্দিরের ভেতরে প্রবেশের পর অগ্নিসংযোগ করে কালী প্রতিমার মাথা বিচ্ছিন্নসহ দুই হাত ভেঙে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই থানা পুলিশে খবর দেয় হয়।


শকিল বর্মন জানান, মাসুদ সরকার গংদের সাথে মন্দিরের জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। মাসুদ সরকারগং বিভিন্ন সময় হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। গত ৭/৮ দিন আগেও মাসুদ সরকার ও আসাদ সরকারের বর্গাচাষি সাইফুল ইসলাম সেল ফোনের মাধ্যেমে তার বাড়ি, মন্দির এবং ক্ষেতের ছবি ধারণ করে নিয়ে যান। তিনি ধারণা করছেন, জমির মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে মাসুদ সরকার ও আসাদ সরকারগং রাতের অন্ধকারে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে কালী প্রতিমা ভাংচুর করেছেন। 


মাসুদ সরকার ও আসাদ সরকারগং অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। তারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন এবং তারা নিজেরাই মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুর করেছেন।


ধামইরহাট থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বৈদ্যনাথ কর্মকার দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। 

ধামইরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গনি জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯ কল সেন্টারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারা যায়। ঘটনায় অবৈধ ভাবে মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। 


নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।