চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের নাম শনাক্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৮ জনকে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে এসব সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজিব ভট্টাচার্য্য নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যাকাণ্ডের সময় তার উপস্থিতি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন রুমিত দাস, সুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস ও সনু মেথর। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিরাও শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বিকাশ দাস (১), অর্জুন দাস, শুভ কান্তি দাস (বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র), কৃষ্ণ দাস (সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের কর্মচারী) এবং বুনজা মেথর অন্যতম।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সিসি ক্যামেরায় দৃশ্যমান ফুটেজে দেখা যায়, সিলভার রঙের হেলমেট ও রামদা হাতে এক যুবক এবং লাল হেলমেট, নীল টি-শার্ট পরিহিত আরেক যুবক আইনজীবী আলিফকে কোপাচ্ছে। প্রথমজনকে বিকাশ দাস এবং দ্বিতীয়জনকে বুনজা মেথর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ এখন তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
এছাড়া, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ কান্তি দাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার রইছ উদ্দিন কালবেলা জানিয়েছেন, "হত্যাকাণ্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাকি ৫ জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।"
এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করার পরের দিন, ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যেই। ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে আদালতের সংরক্ষিত এলাকায় কেন এতজন উপস্থিত ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আলোচনার মধ্যেই নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) লিয়াকত আলীকে পিওএম শাখায় বদলি করা হয়েছে।
**বার্তা প্রেরক:**
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।