জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামের বিবাদপূর্ণ সম্মত্তিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কাঁঠালী গ্রামের মৃত অবার আলীর দুই ছেলে আন্তাজ আলী ও মন্তাজ আলী প্রতিবেশী জহির উদ্দিনের কাঁঠালী মৌজার এস এ খতিয়ান নং ২০৬, আর এস খতিয়ান ২০০ এর ১৭৪ দাগের ২০শতক জমি গত ২০০৯ সালে দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি করেন।
উক্ত ক্রয় করা জমিটি দুই ভাইয়ের মধ্যে মমতাজ আলী পশ্চিমে এবং আন্তাজ আলী পূর্ব পার্শ্বে ১০ শতক করে ভোগদখল করে আসছে। আন্তাজ আলীর পূর্ব পার্শ্বের ভোগদখলীয় পার্শ্ব উল্লেখ করে খাজনা খারিজ স্থানীয় তহশিল অফিসে দাখিল করেন। পার্শ্ব উল্লেখ করে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিজ নিজ অংশে ভোগদখল করার পরও মমতাজ আলী জোড় পূর্বক আন্তাজ আলীর অংশে জবর দখল করার চেষ্টা করলে আন্তাজ আলী জয়পুরহাট জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করলে আদালত তা আমলে নিয়ে গত ২২/০৩/২০২১ইং তারিখে উক্ত বিবাদপূর্ণ সস্পত্তিতে উভয় পক্ষের মাঝে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায়ের পাঁচবিবি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়ে আদেশ প্রদান করে।
পাঁচবিবি থানার এ,এসআই রইচ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সস্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
কিন্তুু এরপরও হঠাৎ করে বিবাদী মমতাজ আলী ও তার তিন ছেলে আব্দুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও বাবু মিলে হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ মমতাজ আলীর পূর্ব পার্শ্বের ভোগদখলকৃত অংশে আদালতের ১৪৪ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘর নির্মাণ করে। তাতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ মমতাজ আলীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনিসহ তার ছেলেরা সাংবাদিদের উপর চড়াও হয়ে উঠেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদীরা বিবাদপূর্ণ জায়গাসহ বাদীর বাবার বিভিন্ন জায়গার সম্পত্তি কৌশলে লিখে নেয় এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এলাকাবাসী আরো জানায়, মমতাজ আলী ও তার তিন ছেলে অত্র এলাকার দাঙ্গাবাজ। তাদের অত্যাচারে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ।
পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, আদালতের আদেশ ক্রমে ওই জায়গায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে। যদি কেউ এই আদেশ অমান্য করে তাহলে আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।