গাংনীতে মনগড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: শনিবার ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১৫ অপরাহ্ন
গাংনীতে মনগড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল

সম্প্রতিকালে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার। জ্বালানি তেল পেট্রোলের মূল্য নির্ধারণ করা হয় লিটার প্রতি ১৩০ টাকা। সরকার এই মূল্য নির্ধারণের পর এক ধাক্কায় ৩০ টাকা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয় সারাদেশে। পরবর্তীতে আবারো জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমানো হয়। নতুন সীধান্ত অনুযায়ী পেট্রোলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫ টাকা। 


কিন্তু, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৪০-১৫০ টাকা পর্যন্ত। পেট্রোল পাম্প গুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্য ১২৫ টাকা নেওয়া হলেও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্লাস্টিক বোতলজাত করে বিক্রি করা পেট্রোল বিক্রেতারা লিটার প্রতি দাম নিচ্ছে মনগড়া এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের। 


উপজেলার তেরাইল, বামন্দী, হাড়াভাঙ্গা, কাজীপুর, তেতুলবাড়িয়া, করমদী, সাহেবনগর, বেতবাড়িয়া, ভবানীপুর, মটমুড়া, নিশিপুর এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়া পেট্রোল দোকানগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যেকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া দামে বিক্রি করার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। 


উপজেলার পীরতলা গ্রামের আকরামুল ইসলাম বলেন, 'আমি সাহেবনগরের একটি দোকান থেকে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিয়ে দাম জিজ্ঞেস করলে ১৫০ টাকা লিটার চাওয়া হয়। আমি তাদের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানী আমার সাথে অসদাচরণ করে।'


তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'গাংনীর সবজায়গায় পেট্রোল তেলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের মনিটরিং করা জরুরি।'


নিশিপুর গ্রামের রাহুল স্টোর থেকে বোতলজাত প্রেট্রোল ক্রেতা একজন পথচারী ওবায়দুল হক। তিনি বলেন, 'পেট্রোল পাম্পে আমার তেল নেওয়া খুব কমই হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসমস্ত দোকানে আমি তেল কিনি। পেট্রোল পাম্পের চেয়ে এসমস্ত খুচরা দোকানে গত কিছু দিন ধরেই বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে।'


গাংনী ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী ও মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, 'এসমস্ত কাজগুলো সম্পুর্ন অন্যায়। পেট্রোল পাম্পে সরকার নির্ধারিত মূল্য বিক্রি হচ্ছে কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মনগড়া দামে এসমস্ত অসাধু ব্যবসা চলছে।'


তবে বিষয়টি নিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম'কে ইতোপূর্বে অভিযোগ প্রদান করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী কয়েকজন। অভিযোগ পেয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এবিষয়ে জানতে (৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকেলে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।