নওগাঁর ধামইরহাটে র্যাব-বিজিবি ও পুলিশের পৃথক মামলায় অবৈধ অর্থ লেনদেন, মাদক মামলাসহ ওয়ারেন্টমুলে ১৪ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, র্যাব-৫ রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অধীন জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকশ দল ৩ সেপ্টেম্বর ধামইরহাট আমাইতাড়া বাজারস্থ্য মাসুদুর রহমানের বিল্ডিং হতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩০ (২) ও ৩৫ ধারার অপরাধ সংঘটিত করার দায়ের উত্তর চকযদু গ্রামের জাহিরুল ইসলামের ছেলে জাকারিয়া হাসান রাজু (২৮), হাটনগর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আশিক আহমেদ রাজু (২০), উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে নূর আলম (২০) ও দূর্গাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তৌকির হোসেন (৩০) কে ৪টি ল্যাপটপ ও ২০টি স্মার্ট ফোন, বেশ কয়েকটি সিমকার্ডসহ আটক করে র্যাব।
আটককৃতরা বিদেশে অনলাইন চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের সহযোগিতায় অবৈধভাবে ডলারের ই-ট্রানজেকশন করতো। যা দন্ডনীয় অপরাধ বলে র্যাব জানায়। এছাড়াও বিজিবি কর্তৃক শেখাইপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুছ আলী (৩২) ৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে।
অপরদিকে ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামীদের ওয়ারেন্টমুলে সঙ্গীয় ফোর্সদের সহযোগিতায় মইশড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাইদ,গোকুল গ্রামের ছানোয়ারের ছেলে মিনার হোসেন, সাহাপুর গ্রামের নইমুদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া, রসুলবিল রাঙ্গামাটি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজু আহমেদ, সুন্দরা গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম, জোতরাম গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তফা, চকপ্রসাদ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে পেন্টাডল বিক্রেতা শাহিনুর আলম মিস্টার, দৌলতপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ময়েন উদ্দিন ও চকভবানী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খাদেমুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন।
ধামইরহাট থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ‘আটককৃতরা বিদেশী ডলার সংরক্ষণ ও ক্রয় করে অবৈধভাবে ই-ট্রানজেকশন করতো, যা অবৈধ ও দন্ডনীয় অপরাধ, আটককৃতদের পৃথক মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।