দিনাজপুরের হিলিতে সরকারী খাদ্যগুদামের জায়গা দখল করে পাকা বাড়ি নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট গত ৩১ জুলাই লিখিত অভিযোগ করেছেন হিলি এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোসেফ হাসদা। অভিযোগ করার পরও বন্ধ হয়নি বাড়ি নির্মানের কাজ।অবৈধ দখলকারী বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন পাকা ইমারত নির্মান। প্রশ্ন উঠেছে তরে অবৈধ দখলকারীর খুঁটির জোর কোথায় ?
দিনজাপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে , বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পরিচালক, খাদ্য বিভাগ এর নামে এসএ রেকর্ড মূলে বিভিন্ন দাগে মোট সম্পত্তির পরিমান ৩ একর ১৮ শতক। তন্মধ্যে ৬৪৯ দাগে ৪১ শতাংশ জমি রয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মানের সময় তৎকালীন কর্মকর্তা ভুলবশত সীমানার পশ্চিমাংশে ৬৪৯ দাগের ৪১ শতাংশের মধ্যে খাদ্যগুদামের পশ্চিম পাশে আনুমানিক ০৮ শতাংশ জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা করেননি।
বর্তমানের উক্ত অংশে জনৈক ব্যক্তি অবৈধ ভাবে স্থায়ী নিমারত নির্মান করছেন। ফলে খাদ্যগুদামের সরকারী সম্পত্তি বেহাত হতে চলেছে।
হিলি এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোসেফ হাঁসদা বলেন,সীমানা প্রাচীর নির্মানের সময় তৎকালীন কর্মকর্তা ভুলবশত সীমানার পশ্চিমাংশে ০৮ শতাংশ জমি সীমানা প্রাচীরের বাহিরে রয়ে যায়। এতদিন ওই জায়গাটিতে জনৈক ব্যক্তি অস্থায়ী বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই জায়গায় স্থায়ী ভাবে পাকা ইমারত নির্মান করছেন। তাই খাদ্য বিভাগের সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করে খাদ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরারর আবেদন করা হয়েছে। যার অনুলিপি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম বলেন, এর আগে খাদ্য বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বাড়ির নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে মাপযোগ করে খাদ্য বিভাগের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন খাদ্য বিভাগ তাদের সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নিলে তাদের সম্পত্তি দখলমুক্ত হবে।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।