স্কুলের বিদ্যুতে চলে লীজ দেওয়া পুকুরের মটর। এ ভাবেই সাইট লাইন দিয়ে চলছে প্রায় এক যুগ। কোন হৈচৈ নেই। নেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ। প্রতি মাসে স্কুল ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়। অথচ স্কুলের পুকুরটি লীজ দেওয়া আছে অন্যের নামে। তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরটি লীজ দেওয়া বারোবাজার এলাকার মাছ চাষি বাচ্চুর কাছে। স্কুলের কাছ থেকে লীজ নিয়ে তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। পুকুরে একটি মটর বসানো আছে। স্কুল থেকে অবৈধ ভাবে সাইট লাইন নিয়ে মৎস্য চাষি বাচ্চু গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর তার এই কাজে সহায়তা করছেন রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেন।
রঘুনাথপুর ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইদ্রিস আলী ইদু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান এবং স্কুল সভাপতি আমির হোসেন প্রায় ১৫ বছর ধরে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে অবৈধভাবে সাইড লাইন দিয়ে পুকুরে বণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে সহায়তা করে যাচ্ছে, যা সমিতির আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ জোনার অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্র নাথ বসাক জানান, অভিযোগের বিষয়টি এজিএমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।