তাহিরপুরে ১০ টাকা কেজি দরের চালে ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। জন প্রতি ত্রিশ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে কখনও ২৬কেজি আবার কখনও ২৭কেজি (এক বালতি)। এ ছাড়াও নির্ধারিত সময়ে দোকান না খোলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন জামতল বাজারের ডিলার আবুল কালামের বিরুদ্ধে। তিনি ডিজিটাল মিটারে চাল পরিমাপ না করে এক বালতি চাল বস্তায় ভরে দিয়েই বলছেন ত্রিশ কেজি চাল। এনিয়ে উপকার ভোগীদের সাথে ঝগড়া লেগেই চলে দিনভর। বারাবাড়ি করলে বিভিন্ন ভাবে হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কার্ডধারী অনেকেই। এসব অনিয়মে বিষয়ে ডিলার আবুল কালামের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। পরিবর্তিতে তার সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
সরজমিন দুপুরে আমতল বাজারে গিয়ে ডিলালের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় লেদারবন গ্রামের আব্দুল মোতালেব,আব্দুল মালেক, আব্দুল আহাদ বলেন, বালতি দিয়ে চাল দেয়ায় দু-তিন কেজি কম দেয়ায় সকালে এনিয়ে ঝগড়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় আসলে আমাদেরকেও এককেই ভাবে বালতিতে ভরে চাল দিয়ে বলে এখানে ত্রিশ কেজি চাল আছে।
কুকুরকান্দি গ্রামের আওয়াল মিয়া,এরশাদ মিয়া আলেক মিয়াসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোক্তভোগীরা বলেন, ডিজিটাল মিটারে পরিমাপ না করেই বালতি দিয়ে বস্তায় ভরে দেয়।আমরা পরিমাপ করেনি তারা বলেছে এখানে ত্রিশ কেজি চাল আছে। পরে অন্য দোকানে পরিমাপ করে দেখা যায় ২৬ কেজির একটু বেশি।
আমতল বাজারে আব্দুস ছাত্তারসহ স্থানীয় একাধিক দোকানদার জানান, চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়ার উপকার ভোগীদের সাথে ঝগড়া হয়েছে ডিলারের। এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোব প্রকাশ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা খাদ্য গোদাম কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, দশ টাকা কেজি চাল প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি রয়েছে। কার্ড ধারীরা জন প্রতি ত্রিশ কেজি চাল পাওয়ার কথা।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এই বিষয় খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।