২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের মর্যাদা অর্জন করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। অন্যদিকে দর্শকদের ভোটে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।
শুক্রবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এ পুরস্কার প্রদান করে। দেশের খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও সংশ্লিষ্টদের সম্মানিত করা হয় এই আয়োজনে।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হওয়ার দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন নারী ফুটবলের সাফজয়ী তারকা ঋতুপর্ণা চাকমা ও অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার আর্চার সাগর ইসলামকে। তবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’-এ দর্শকদের মন জয় করে এগিয়ে যান ঋতুপর্ণা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিরাজ ও তরুণ পেসার নাহিদ রানা।
অনুষ্ঠানে আরও যেসব বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়, তার মধ্যে ছিল বর্ষসেরা ক্রিকেটার, ফুটবলার, আর্চার, অ্যাথলেট, কোচ, সংগঠকসহ বিভিন্ন বিভাগ। বর্ষসেরা ফুটবলার হন ঋতুপর্ণা চাকমা, বর্ষসেরা আর্চার সাগর ইসলাম, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে বর্ষসেরা অ্যাথলেট জহির রায়হান এবং উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে নির্বাচিত হন পেসার নাহিদ রানা।
বর্ষসেরা দাবাড়ু হিসেবে মনন রেজা নীড়, দলগত সাফল্যের জন্য অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল, সক্রিয় সংস্থা হিসেবে যশোরের শামস-উল-হুদা অ্যাকাডেমি, বর্ষসেরা কোচ হিসেবে মওদুদুর রহমান শুভ (হকি), তৃণমূল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে বীরসেন চাকমা এবং বর্ষসেরা সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি মো. ইমরুল হাসান। আম্পায়ার হিসেবে পুরস্কৃত হন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এবং বিশেষ সম্মাননা পান ২০১০ এসএ গেমসের স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক হামিদুল ইসলাম।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “বিএসপিএ প্রতি বছর যে সুন্দর আয়োজন করে, তার জন্য ধন্যবাদ। এখানে এসে বিভিন্ন খেলাধুলার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়—এই অভিজ্ঞতা দারুণ।”
অন্যদিকে ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা চাকমা জানান, “খেলার জন্য বর্তমানে আমি ভুটানে অবস্থান করছি, তাই অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি। তবে এই সম্মাননা আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “এই আয়োজন ক্রীড়াঙ্গনে নতুন আশার আলো জাগাবে। সরকার ক্রীড়ার বাজেট ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে।” অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “জেলার খেলাধুলার উন্নয়নে আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। বিএসপিএ’র পাশে স্কয়ার ভবিষ্যতেও থাকবে।”