মায়ের সাথে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:৫০ অপরাহ্ন
মায়ের সাথে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঝালকাঠির রাজাপুরে মায়ের সাথে অভিমান করে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোসা. এলমা আক্তার (১৬), সে পশ্চিম গালুয়া দূর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মো. নূরুল ইসলামের মেয়ে। রবিবার বিকেলে গালুয়া দূর্গাপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  


নিহতের বড় ভাই মো. সুমন জানান, এলমা কিছুদিন ধরে স্কুলে যেত না, যার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একদিন সুমন তার মা’র সাথে বসে এলমার বিয়ে দেয়ার কথা খুলনায় তাদের এক বোনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই এলমা মোবাইলে কথা বলে ও তার মোবাইলটি পরিবারের কাছে রেখে ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর এলমা ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  


পরিবারের সদস্যরা দ্রুত এলমাকে উদ্ধার করে রাজাপুর হাসপাতাল নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ তমাল হালদার জানান, এলমা নামের ১৬ বছরের কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল মৃত অবস্থায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মরদেহ পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।  


রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে।  


এলমার মৃত্যুতে স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলমার মতো একজন মেধাবী শিক্ষার্থী এতটা হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করবে, এমনটি তারা ভাবতেই পারেননি।  


স্থানীয়রা আরো জানান, এলমা ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো ছাত্রীরূপে পরিচিত ছিল। তবে সম্প্রতি তার আচরণে কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল, যা পরিবারের সদস্যদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল।  


এলমার আত্মহত্যার ঘটনার পর এলাকার মানুষজন খুবই দুঃখিত ও শোকার্ত। তারা মনে করেন, পরিবারের মধ্যে এমন অভিমান যেন অন্য কোনো পরিবারের সদস্যদের মধ্যে না হয়।  


এলমার পরিবারের সদস্যরা এখন তার মৃত্যু নিয়ে গভীর দুঃখিত এবং তারা বুঝতে পারছেন না কেন এমন একটি ঘটনা ঘটলো। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে কাজ করছে।  


এলমার পরিবার এখন তার আত্মহত্যার বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না এবং এ ঘটনার তদন্তের মাধ্যমে তারা সঠিক বিচার চায়।