এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারত-পাকিস্তান মেগা ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। রোহিত শর্মা না বাবর আজম, রবিবার মরুশহর দুবাইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা অবশ্য সময়ই বলবে। তবে বাইশ গজে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াই ঘিরে আবেগে ভাসছেন সমর্থকরা। বাদ নেই প্রাক্তনরাও।
অনেকেই স্মৃতির সরণি দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছেন। এক দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ৮৩’র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন কপিল দেব।
৩৬ বছর আগে শারজায় অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে শেষ বলে হারের জ্বালা আজও তিনি ভুলতে পারেননি।
কপিলের কথায়, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। যা শুধু সমর্থকদের নয়, ক্রিকেটাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। আমরা প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে তুলেছিলাম ২৪৫ রান। আরও বেশি রান হতে পারত। মরুশহরের পিচে যা লড়াইয়ের পক্ষে যথেষ্ট ভালো স্কোর। শেষ দশ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯০ রান।
মনে হচ্ছিল ম্যাচটা আমরা সহজেই জিতব। কিন্তু জাভেদ মিয়াঁদাদ দুরন্ত ইনিংস (অপরাজিত ১১৬) খেলে আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল। শেষ ওভারে জেতার জন্য পাকিস্তানের ১১ রান দরকার ছিল । আমরা বল তুলে দিয়েছিলাম চেতন শর্মার হাতে। দুটো উইকেটও পড়েছিল। অন্তিম বলে তৈরি হয়েছিল এক রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। পাকিস্তানের দরকার ছিল চার রান।
চেতন ভেবেছিল লো ইর্য়কার দেবে। কিন্তু চাপের মুখে লো ফুলটস পড়ে যায়। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি মিয়াঁদাদ। সপাটে বলটা পাঠিয়ে দিয়েছিল গ্যালারিতে। বিশাল ছক্কায় ম্যাচের সঙ্গে ট্রফিও ছিনিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তান।
আমরা ভাবিনি, শেষ ওভারে ১১-১২ রান এত সহজে ওরা তুলে ফেলবে। তখনকার ক্রিকেটে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু এক অসাধ্যসাধন করেছিল মিয়াঁদাদ। ওর ব্যাটই আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল। দিনটা মনে পড়লে আজও ঘুমাতে পারি না। দলের মনোবল একেবারে তলানিতে ঠেকে গিয়েছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।