চলতি আসরের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে উঠে গেল জ্যামাইকা তালাওয়াস। অন্যদিকে, টানা দুই হারে ফাইনালে ওঠা হলো না সাকিব আল হাসানের গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের। আগামী ১ অক্টোবরের ফাইনালে বার্বাডোস রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে জ্যামাইকা।
গায়ানার ব্যর্থতার দিনে আলো ছড়াতে পারেননি সাকিবও। বল হাতে তিন ওভার করে ৩০ রান খরচায় উইকেটশুন্য ছিলেন তিনি। এবারের সিপিএলে এই প্রথম উইকেটশুন্য ছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ছয় বলে মাত্র পাঁচ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচটিতে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে জ্যামাইকা ২০ ওভারে তোলে ২২৬ রান। সিপিএলের এবারের আসরে যা দলীয় সর্বোচ্চ। গায়না রান তাড়ায় যেতে পারে ১৮৯ পর্যন্ত। তবে সত্যিকার অর্থে জয়ের মতো চ্যালেঞ্জ তারা জানাতে পারেনি খুব একটা। ৩৭ রানের জয়ে নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে জ্যামাইকা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জ্যামাইকা প্রথম ওভারে হারায় কেনার লুইসকে, তৃতীয় ওভারে ব্র্যান্ড কিংকে। তিনে নামা ব্রুকস বেঁচে যান ৫ রানে, উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সেই ব্রুকস আস্তে আস্তে ভোগাতে থাকেন গায়ানাকে। তৃতীয় উইকেটে রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে জুটি হয় ৩৭ বলে ৫৫ রানের। পাওয়েল বিদায় নেন ২৩ বলে ৩৭ রান করে। নবম ওভার শেষেও ব্রুকসের রান ছিল ২০ বলে ২৩। পরে রানের গতি বাড়িয়ে ফিফটি করেন তিনি ৩৪ বলে। সিপিএলে তার আগের ফিফটি ছিল সেই ২০১৯ সালে।
পাঁচে নেমে রেমন রিফার ২২ রান করতে খেলে ফেলেন ২২ বল। তবে তার বিদায়ের পর সব পুষিয়ে দেন ব্রুকস ও ইমাদ ওয়াসিম। ব্যাটিং তাণ্ডবে স্রেফ ৩০ বলে ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দুজন। ম্যাচের ভাগ্যও গড়ে দেয় ওই জুটিই। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ইমাদ। ওই ওভারেই ব্রুকস জীবন পান আরেকবার। ৫৩ রানে তার ক্যাচ নিতে গিয়ে ছক্কা বানিয়ে দেন কিমো পল। ১৬তম ওভারে আসে ১৬ রান। ১৭তম ওভারে সাকিবকে তিন ছক্কা মারেন ব্রুকস, ওভার থেকে আসে ২১ রান। ১৮তম ওভারে ১৭, ১৯তম ওভারে ২৩ আর শেষ ওভারে রান ওঠে ২৬। ৯২ রানে শেষ ওভার শুরু করে ব্রুকস টানা দুটি বাউন্ডারিতে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। পরের বলে মারেন ছক্কা। ইমাদ অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৪১ রান করে।
গায়ানা রান তাড়ায় ওপেনার পল স্টার্লিংকে হারায় শুরুতেই। গুরবাজ ও শেই হোপের ঝড়ে তবু ৫ ওভারে ৫০ করে ফেলে দল। কিন্তু উইকেটও পড়তে থাকে নিয়মিত। ১৩ বলে ৩১ করে বিদায় নেন হোপ, ১৬ বলে ২২ গুরবাজ। সাকিব চারে নেমে পাঁচটি সিঙ্গেল নেওয়ার পর আউট হন অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার ক্রিস গ্রিনের বলে। আর্ম বল স্লগ করতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন স্টাম্পে। ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে গায়ানার আশাও অনেকটা শেষ হয়ে যায়। পাঁচে নেমে কিমো পল ৩৭ বলে ৫৬ করেন। তবে জয় সরতে থাকে দূরে। শেষ দিকে গুডাকেশ মোটির ১৩ বলে ২১ ও ওডিন স্মিথের ১৪ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ব্যবধান কমে কিছুটা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।