বিপিএল শুরুর তিনদিন আগে কয়েকজন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে সে সময় নাম জানা যায়নি। এবার প্রকাশ্যে এলো। জানা গেছে, বিপিএলে খুলনার হয়ে নাম লেখানো সৌম্য সরকারসহ আরও একজন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বাকি দুই জন টিম বয়ও পজিটিভ।
এদিকে সৌম্যসহ যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে হোটেলে উঠতে দেওয়া হবে না। ফলে আপাতত দলের বাইরেই থাকতে হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত খেলোয়াড়দের। আর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে টোকিও অলিম্পিকের প্রটোকল ফলো করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এদিকে কোভিডের এ বিপর্যস্ত সময়ে আসর আয়োজন করতে পারাটাকেই সাফল্য বলে মানছেন আয়োজকরা।
এবারের বিপিএলে ডিআরএস থাকছে না বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। করোনা প্রকোপের কারণে ডিআরএসের একমাত্র সোর্স হক-আই কোম্পানির লোকবল কম থাকায় এবারের বিপিএলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না ডিআরএস।
আগামী ২১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের। এবারের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, বিপিএল নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা থাকলেও, মাঠের খেলায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন মিনিস্টার ঢাকার দুই সিনিয়র ক্যাম্পেইনার তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কোভিডের এ বিপর্যস্ত সময়ে আসর আয়োজন করতে পারাটাকেই সাফল্য বলে মানছেন তারা। আর নিজের দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের আধিক্য থাকায় শিরোপায় চোখ প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের।
অন্যদিকে, ঢাকা এগিয়ে যেখানে, ঠিক সেই অভিজ্ঞতাতেই পিছিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তারুণ্যের শক্তিই তাদের প্রধান ভরসা।
বিপিএলের সময়সূচি ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা ধরণের নেতিবাচক সংবাদ। কখনো ফ্রাঞ্চাইজি মালিক নিয়ে সমস্যা তো কখনো মাঠে দর্শক থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে চলে আলোচনা। এর মাঝেই আবার নতুন ঝামেলা উসকে দিয়েছে ডিআরএস না থাকার খবর।
বিসিবি থেকে কোভিডকে কারণ হিসেবে দেখালেও, একই সময় পাকিস্তানের পিএসএলে এই প্রযুক্তি থাকলেও ঢাকায় না আসাটা ক্রিকেট বোর্ডের ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।