রানখরার ম্যাচে জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি যেন পেসারদের দাপটে পরিণত হলো এক রোমাঞ্চকর অধ্যায়ে। স্বাগতিকদের হয়ে শামার জোসেফ এবং জেইডেন সেইলসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় দিনের সকালটা হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য বিধ্বংসী। তবে সব আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন সেইলস, যিনি গড়েছেন একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড।
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্ক স্টেডিয়ামে সেইলসের বোলিং ফিগার ছিল অবিশ্বাস্য: ১০ মেইডেন, ৪ উইকেট, মাত্র ৫ রান। প্রথম দিনে ৭ ওভারের ৬টি মেইডেনের পর দ্বিতীয় দিনে ৮.৫ ওভারে ৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। তিনি লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ভেঙে দেন এবং পরে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার উইকেট তুলে নেন।
সবমিলিয়ে সেইলসের ইকোনমি ছিল মাত্র শূন্য দশমিক তিন এক ছয়, যা একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে সবচেয়ে কিপ্টে বোলিংয়ের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের উমেশ যাদবের দখলে, যিনি ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ওভারে ইকোনমি রেট ০.৪২৯ নিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
তবে টেস্ট ক্রিকেটের সামগ্রিক ইতিহাসে সেইলসের বোলিং ফিগার তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে। সর্বকালের সেরা মিতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন ভারতের রমেশচন্দ্র নাদকার্নি। ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৩২ ওভারে ২৭টি মেইডেন দিয়ে মাত্র ৫ রান খরচ করেছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাহিদ রানা অবশ্য স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পিচে গতি ছড়িয়ে। কিন্তু সেইলসের আগুন ঝরানো স্পেল টাইগারদের জন্য দিনে অন্ধকারময় করে তোলে। ম্যাচে মোট রান হয়েছিল মাত্র ১৬৫, যা রানখরার দাপটকে আরও স্পষ্ট করে।
দ্বিতীয় দিনের পারফরম্যান্সে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়েছে স্বাগতিক দল, যেখানে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার সেইলসের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।