এক সপ্তাহ আগে করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় রাজশাহী জেলাকে ‘ইয়োলো জোন’ ঘোষণা করা হলেও বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সম্প্রতি এই জেলায় সংক্রমণ বেড়েছে। মাত্র তিনদিনে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২১১ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা বিষয়ক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি ১৮ জন ও ১৬ জানুয়ারি ২২ জন সংক্রমিত হলেও পরবর্তী তিনদিনে সংক্রমণ হার বেড়েছে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিনগুণ।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতালে ৪৬ জন ও মেডিকেলের ল্যাবে ৩১ জন করোনা শনাক্ত হন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ ও মেডিকেল ল্যাবে ২১ জনসহ মোট ৬২ জন শনাক্ত হন। তবে এদিনে কেউ করোনায় মারা যাননি।
সর্বশেষ বুধবার মোট ৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ ও মেডিকেলের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৩১ জন শনাক্ত হন। আজ রাজশাহীর একজন ও নওগাঁর একজন করোনায় মারা গেছেন।
রামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, যে হারে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে রাজশাহীতেও ওমিক্রনের অনুপ্রবেশ হয়েছে। অন্যথায় হঠাৎ করেই এত মানুষ সংক্রমিত হওয়ার কথা নয়।
এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, দেশের প্রতিটি জেলায় করোনা বৃদ্ধির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে রাজশাহীকে ‘রেড জোনের’ আওতায় ফেলা হয়েছে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করলেও পরে আরটিপিসিআর মেশিনে পুনরায় করোনার টেস্ট করতে হয়। তবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে একটি ধারণা পাওয়া যায়। যেহেতু স্বাস্থ্য অধিদফতর রাজশাহী জেলাকে ‘রেড জোনের’ আওতায় ফেলেছে, তাই সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে কথা বলে ফের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালুর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।